আলো পোর ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে দেশবাসীকে জানাই নববর্ষের শুভেচ্ছা।
বাংলা বর্ষপঞ্জির নতুন বছর ১৪৩২ কে বরণ করে নিতে দেশজুড়ে যখন আনন্দ-উৎসবের আমেজ, ঠিক তখনই আলো পোর ফাউন্ডেশন এন্ড ব্লাড ডোনেশন পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হলো আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসাঃ “সকলকে জানাই বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ এর হৃদয়ছোঁয়া শুভেচ্ছা। আসুন, নববর্ষে মানবিকতার আলো ছড়িয়ে দিই একসাথে।”
বাংলা নববর্ষঃ ঐতিহ্যের ধ্বনি, সংস্কৃতির স্পন্দনবাংলা নববর্ষ শুধু একটি ক্যালেন্ডার পাল্টানোর দিন নয়, এটি বাঙালির চিরায়ত সংস্কৃতির প্রতীক। মুঘল সম্রাট আকবরের শাসনামলে কৃষি ও খাজনা নির্ধারণের সুবিধার্থে প্রবর্তিত হয় এই পঞ্জিকা, যা পরে রূপ নেয় বাঙালি জাতির আত্মপরিচয়ের উৎসবে। বৈশাখের প্রথম দিনে পান্তা-ইলিশ, হালখাতা, বৈশাখী মেলা আর মঙ্গল শোভাযাত্রার মাধ্যমে মানুষ একে অন্যের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নেয়। নতুন বছরের এই শুভ প্রভাতে মানুষ যেমন পুরোনো গ্লানি ভুলে সামনে এগিয়ে যেতে চায়, ঠিক তেমনি আলো পোর ফাউন্ডেশন এন্ড ব্লাড ডোনেশন তাদের মানবিক দায়িত্বের জায়গা থেকে সমাজে আশার আলো ছড়িয়ে দিতে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে।
আলো পোর ফাউন্ডেশনঃ মানবতার পথে এক দৃঢ় পদক্ষেপঃ “আলো পোর ফাউন্ডেশন এন্ড ব্লাড ডোনেশন” কেবল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনেরই নয়—এটি এক মানবিক আস্থার নাম। সংগঠনটি নিয়মিত রক্তদান কর্মসূচি, অসহায়দের পাশে দাঁড়ানো, সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন ও জরুরি সেবার মাধ্যমে সমাজে সাহচর্য ও সহমর্মিতার বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছে।
নববর্ষের এই শুভক্ষণে তারা আহ্বান জানিয়েছেঃ “আসুন, শুধু আনন্দ নয়—ভালোবাসাও ভাগাভাগি করি। রক্ত দিয়ে, সময় দিয়ে, হৃদয় দিয়ে সমাজকে আলোকিত করি।”
নতুন বছরে নতুন অঙ্গীকারঃ বাংলা ১৪৩২ যেন হয় নতুন সম্ভাবনার দ্বার। আলোর পথে, ভালোবাসার বন্ধনে, মানবিক দায়িত্বে একত্র হয়ে আমরা গড়তে পারি এক সহানুভূতিশীল সমাজ। নববর্ষ হোক নতুন অঙ্গীকারের উৎস—যেখানে প্রতিটি হৃদয় একসাথে বলে ওঠেঃ “নতুন বছর, নতুন আলো—আলো হোক সকল প্রাণে।”